হার্টবিট ডেস্ক
বেড খালি না থাকায় নতুন রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।বেশ কয়েকদিন ধরে সাসপেক্টেড করোনা ও করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এতে প্রচুর রোগী ঢামেকে ভর্তি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঢামেকের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হাফিজ সরকার বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আমাদের হাসপাতালেও ভর্তি হচ্ছে প্রচুর রোগী। হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলা থেকে ১০তলা পর্যন্ত করোনা রোগী ভর্তি হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে রোগীর সংখ্যা কম ছিল। বেড খালি না থাকায় নতুন রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, নতুন ভবনে করোনা সাসপেক্টেড রোগীদের ভর্তি করে আলাদা রাখা হয়। এছাড়া করোনা রোগীদের সরাসরিও ভর্তি করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ সরকার বলেন, নতুন ভবনের করোনা আইসিইউ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ইউনিটটি এখনও তালা বন্ধ। ওই আইসিইউর পাশে একটা পিসিসিইউ আছে। সেটাকে এইচডিইউ করে রোগীদের রাখা হচ্ছে। আগের নিয়মেই চিকিৎসকরা ডিউটি করছেন। আপাতত চিকিৎসক সংকট নেই। সংকট শুধু জায়গার। নতুন রোগীদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। প্রচুর রোগী। কেউ চিকিৎসা শেষে বাড়ি গেলে তারপর অন্য রোগীকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, করোনা রোগীর সংখ্যা প্রচুর বেড়ে গেছে। আমরা সবাইকে শয্যা দিতে পারছি না। যারা খুবই ক্রিটিক্যাল রোগী তাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত সব রোগীকেই অক্সিজেন দেওয়া হয়। আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেনের মাধ্যমে সবাই অক্সিজেন পেয়ে থাকে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আমাদের চিকিৎসকসহ স্টাফদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। এছাড়া প্রচুর রোগী আসছেন। এত শয্যা আমরা পাবো কোথায়? আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি।
নাজমুল হক বলেন, অন্যান্য ওয়ার্ডে বেড খালি না থাকলেও রোগীদের ফ্লোরে ও আনাচে-কানাচে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হতো। কিন্তু করোনা রোগীদের তো আর ফ্লোরে রাখা হয় না। যতগুলো বেড আছে ততগুলো রোগী ভর্তি নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, হাসপাতালের বার্ন ইউনিটকে করোনা সার্জারি ইউনিট করা হয়েছে। যাদের দ্রুত সার্জারি দরকার দেখা গেল সে করোনা আক্রান্ত। সেসব রোগীকে সেখানে ভর্তি করে সার্জারি করা হচ্ছে। সেখানেও করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা শাহানা বানু বলেন, রোগীর সংখ্যা এখন প্রচুর। আমাদের প্রতিদিন প্রচুর স্যাম্পল সংগ্রহ করতে হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে কিছুটা কমে গিয়েছিল। ওই সময় প্রতিদিন মেশিন রান করত একবার আর এখন রান করে তিনবার। একবার রান করার সময় ৯৬টি স্যাম্পল দেওয়া হয় মেশিনে।
Discussion about this post