হার্টবিট ডেস্ক
সারা দেশে বিশ্ব গ্লকোমা সপ্তাহ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিনামূল্যে চোখের গ্লকোমা পরীক্ষা করেছে বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটি। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
১৩ মার্চ রাজধানীর হারুন আই ফাইন্ডেশনে সকাল সাড়ে ৮ থেকে শুরু হয়ে দুই ঘণ্টা ধরে চলে এই কার্যক্রম। এরপর দুপুর ১২টায় গ্লকোমা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটি।
সূচনা বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব ডা. সালমা পারভীন দেশে গ্লকোমা রোগের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাস্সের আলী গ্লকোমা রোগের ভয়াবহতা ও চিকিৎসা সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন।
বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, গ্লকোমা রোগের গণসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষে গণমাধ্যমকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে এবং গ্লকোমা রোগ প্রতিরোধে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ গ্লকোমা সোসাইটির প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক শেখ এম এ মান্নাফ, অধ্যাপক ডা. এম নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক ডা. আভা হোসেন (সভাপতি ইলেক্ট), অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কাদের (সাধারন সম্পাদক ওএসবি)।
গ্লকোমা নীরব অন্ধত্বের প্রধান কারণ উল্লেখ করে চিকিৎসকরা বলেন, রোগটি সাধারণত চোখের প্রেসারজনিত রোগ। যথা সময়ে এর চিকিৎসা না করালে চিরতরে অন্ধত্ব বরণ করতে হয় রোগীদের। তাই প্রত্যেকের নিয়মিত চোখের প্রেসার, দৃষ্টিশক্তির পরিসীমা পরিমাপ, অপটিক নার্ভ, রেটিনা ও কর্নিয়ার পুরুত্ব মাপা এবং ইউবিএম পরীক্ষা করা জরুরি বলে মনে করেন তারা।
Discussion about this post