হার্টবিট ডেস্ক
বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের চেয়ে কিডনি রোগী সংখ্যা দ্বিগুণ রয়েছে। এরমধ্যে শতকরা ৯০ জনের কিডনি রোগ সম্পর্কে ধারণা নেই। প্রতি ঘন্টায় বিশ্বে পাঁচজন শিশু এ রোগে মারা যায়। আর দেশে প্রায় ২ কোটি লোক বিভিন্ন ধরনের কিডনি রোগে আক্রান্ত, যাদের এক চতুর্থাংশের বয়সই ১৮ বছরের কম।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সারা বিশ্বের জনসংখ্যার ৯.১ শতাংশ বা ৮৫০ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। ২০১৮ সালের তথ্য বলছে বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজার শিশু এ রোগে আক্রান্ত। যাদের ১০ ভাগ পরিপূর্ণ বা আংশিক চিকিৎসার আওতায় আসে।
“কিডনি রোগেও স্বভাবিক জীবন” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের কিডনি দিবস করছে বিশ্ব। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিএসএমএমইউ’র ডা. মিল্টন হলে পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজী সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে এক সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, দেশের যে কয়েকটি হাসপাতাল কিডনি রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকে তা পর্যাপ্ত নয়। সরকারি উদ্যেগে কিডনি হাসপাতাল করতে হবে। একইসাথে দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। যা করে যাচ্ছে বিএসএমএমইউ।
সভাপতির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির শিশু ও কিডনি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রনজিত রঞ্জন রায় বলেন, কিডনি রোগী সমাজের বোঝা নয়। সঠিক চিকিৎসা, শিক্ষা, পারিবারিক, সামাজিক সহায়তায় সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে, তেমনি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানও রাখতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু কিডনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোলাম মঈন উদ্দিন বলেন, কিডনি সুস্থ রাখতে এবং এ রোগ থেকে বাঁচতে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সুষম খাদ্যগ্রহণ ও ধূমপান পরিহার করতে হবে। তিনি বলেন, খাদ্যে ভেজাল দূর করতে পারলে কিডনি রোগ অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।
শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম বলেন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
এসময় বক্তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। পরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, ডা, রনজিত রঞ্জন রায়, ডা. আফরোজা বেগন, উপ উপাচার্য ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ- উপাচার্য ডা. মো. জাহিদ হোসেন সহ আরো অনেকে।
Discussion about this post