হার্টবিট ডেস্ক
শুধু সচেতন হলে ৫০ শতাংশ কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব ।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটির (ক্যাম্পস) প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ সামাদ এ অভিমত দেন। বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কিডনি ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন ও ক্যাম্পস।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম। বক্তব্য দেন কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন-আর-রশিদ, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. কেবিএম হাদিউজ্জামান।
উপাচার্য কনক বড়ুয়া বলেন, কিডনি রোগ একটি নিরব ঘাতক। বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি লোক কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোক ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে জীবন ধারণ করছেন। কিডনি রোগ বিশ্বের অন্য দেশের মতো প্রকট আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশে প্রায় ৪০ হাজার রোগী কিডনি রোগে মারা যাচ্ছে। সময়মতো প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও চিকিৎসা নিলে কিডনি রোগের মৃত্যুর হার অনেকাংশেই কমে যাবে।
অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ বলেন, আমরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে আমরা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ এ রোগ আমরা প্রতিরোধ করতে পারবো। বিশ্বে যতবার কিডনি দিবস উদ্যাপিত হয় তখন আমাদের মূল টার্গেট এটাই থাকবে। যাতে করে আমরা অঙ্কুরেই এটি চিহ্নিত করতে পারি। হেলদি লাইফ স্টাইল মেনটেইন করে প্রাথমিকভাবে যেন এ রোগ না হয় আমার সেটি করতে পারি। কিডনি রোগ যদি হয়েই যায় তাহলে আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারি।
মহাসচিব ডা. কেবিএম হাদিউজ্জামান বলেন, অত্যাধুনিক বিশ্বে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের রোগী যে হারে বাড়ছে তার চিত্র খুবই ভয়াবহ। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২৫ সাল নাগাদ প্রতি পাঁচজনে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবেন। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা থেকেই রোগীদের কিডনির কার্যকারিতা দিন দিন লোপ পেতে থাকে। শতকরা প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী ধীর গতির কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ব্যাথা নাশক ওষুদের অপব্যবহার, এন্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, নেশা জাতীয় বিভিন্ন ওষুদের ব্যবহার, হারবাল মেডিসিনের ব্যবহার, খাদ্যে ভেজাল ফার্মের খাবারের ফলে কিডনি বিকল রোগীর সংখ্যা বহুলাংশে বেড়ে যাচ্ছে। এ সমস্যাগুলো উত্তরণে যত পন্থা আছে তার অবলম্বন শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।
Discussion about this post