বিশেষ প্রতিবেদক
ডায়াবেটিক রোগীদের করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি। ফলে যাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস আছে, তাদের সচেতন থাকতে হবে বেশি এবং যত দ্রুত সম্ভব করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ডায়াবেটিস হলে যে কোনো জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। এ কারণে করোনাকালে সবচেয়ে ঝুঁকিতে ডায়াবেটিক রোগীরা। ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের করোনার উপসর্গগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ফলে ডায়াবেটিস থাকা কারো কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দিলে তার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রার ওপর সতর্ক নজর রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির তথ্য অনুয়ায়ী, দেশে বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রায় ৮৪ লাখ বলে ধারণা করা হয়। আর বিশ্বে ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী এ সংখ্যা প্রায় ৪৬ কোটি। এর তিন চতুর্থাংশের বাস নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোয়। এ ছাড়া ১০ লাখের বেশি শিশু ও কিশোর টাইপ-১ ডায়াবেটিসে ভুগছে। আর টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধের এখনি কার্যকর উদ্যোগ না নিলে এই সংখ্যা ২০৪৫ সালের মধ্যে ৬৯ কোটিতে পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, করোনাকালে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরচর্চার সুযোগ কমেছে, ফলে বেড়েছে তাদের দুঃচিন্তা। তবে করোনার টিকা ডায়াবেটিস রোগীদের কিছুটা হলেও আশা জাগিয়েছে। দেশে করোনায় আক্রান্তদের প্রতি পাঁচ জনে এক জন ডায়াবেটিস রোগী। তিনি বলেন, ডায়াবেটিস রোগীর একই সঙ্গে অনেক ধরনের রোগের ঝুঁকি থাকে। একজন সাধারণ কোভিড রোগীর যত ঝুঁকি তার চেয়ে অনেক বেশি ঝুঁকি একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত কোভিড রোগীর। সে কারণে যত দ্রুত সম্ভব ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর করোনার টিকা নিতে হবে।
যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং ডায়াবেটিস না থাকলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সচেতন হতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি কোভিড প্রতিরোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলো চললে কোভিড থেকেও মুক্ত থাকা সম্ভব।
Discussion about this post