পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কারণেই দেশ আজ ওষুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ। স্বাস্থ্যখাতে তার অবদান আমাদের ধারণার বাইরে, যা কখনও ম্লান হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তার কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তার অবদানেই করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উদাহরণ। বিভিন্ন দেশ আজ বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। বিশেষ করে ভ্যাকসিন কার্যক্রমে সফলতার কারণে বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে স্মরণ করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দেশকে সুস্থ রাখতে হবে এবং দেশের স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। করোনার এক বছরে বাংলাদেশের চিত্র উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। বিশেষ করে আমাদের ডাক্তার, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা সম্মুখ সারিতে থেকে করোনা প্রতিহত করেছে। এর মাধ্যমে আমরা করোনা প্রতিরোধে সফল হয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, করোনার শুরু থেকে আমরা এটাকে প্রতিহত করার জন্য যুদ্ধ করেছি। এজন্য সব ধরনের গাইডলাইন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে একটি মাত্র ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হতো, আজ দুইশর বেশি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে।
করোনা মোকাবিলায় আমরা সফল হয়েছি উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে গত এক বছরে আমরা অনেক ভালো করেছি। আগামী বছরের মূল পরিকল্পনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমে সফল হওয়া এবং সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া।
তবে ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
Discussion about this post