হার্টবিট ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে ।
আজ সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিলন হলে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম ( বিএইচআরএফ) আয়োজিত ‘করোনার এক বছরে বাংলাদেশ: সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘শুরুতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সম্পর্কেই জানা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্রুত ও যথাযথ নির্দেশনার কারণেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ সফল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য মাত্র ১৫ দিনের কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে কয়েক হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।’
করোনাকালে টেলিমেডিসিন সেবা কার্যক্রমে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ সেবা পেয়েছে উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনায় কোন ব্যবস্থায় ছিলো না অব্যবস্থাপনা কোথায় থাকবে। আমরা দ্রুত গতিতে পরিকল্পনা করি। আমরা হাসতাপালের বেড আলাদা করেছি। ওষুধের কোনো ঘাটতি ছিলো না।’
প্রধনমন্ত্রী দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গবেষণার যন্ত্রপাতি আনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের দেশের কোম্পানিগুলোকে দেশে ভ্যাকসিন বানাতে বলেছি। আমরা তাদের সক্ষমতা দেখতে পরিদর্শনে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। করোনায় পৃথিবীর ১২ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়ছে। বাংলাদেশের ১২ থেকে ৩০ লাখ ডলার ক্ষতি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা করোনার এক বছরে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন—সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জুলফিকার আহমেদ আমিন প্রমুখ।
Discussion about this post