হার্টবিট ডেস্ক
‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন দ্রুততম সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রণোদনা দিয়ে দিতে, কিন্তু আপনারা এখনও সেটা দেননি। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করেছেন।’
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জীবন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পরেও প্রনোদনা পায়নি জানিয়ে এমন ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী।
আজ সোমবার (৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহযোগিতায় এবং হেল্থ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) আয়োজনে ‘করোনার এক বছরে বাংলাদেশ: সফলতা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
একজন চিকিৎসক ছাড়া আর কেউ প্রণোদনা পায়নি উল্লেখ করে বিএমএ মহাসচিব বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় সারা বিশ্ব যখন ভীত-সন্ত্রস্ত, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবন ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালু রেখেছেন। তখন প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসক-নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রণোদনার ঘোষনা দেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এখন পর্যন্ত মাত্র একজন চিকিৎসক ছাড়া আর কেউ প্রণোদনা পায়নি।’
‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে সব রেডি, শিগগিরই দিয়ে দেওয়া হবে, অর্থ বিভাগ বলছে সব কাগজপত্র রেডি, কিন্তু কেন এখনও দেওয়া হচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না’ যোগ করেন ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, ‘করোনার শুরুতে আমাদের কিছু ব্যর্থতা থাকলেও শেষের দিকে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং টিকা কার্যক্রমে শতভাগ সফল হয়েছি। যেখানে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এখনও টিকা পায়নি। এর সকল কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার। তার সঠিক নেতৃত্বে ও যোগ উপযোগী সিদ্ধান্তের ফলেই আমরা বিশাল এই কর্মসূচি সফলতার সাথে পরিচালনা করে যাচ্ছি।’
এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সঠিকতা তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছি। ফলে জনগণের মধ্যে কিছু ভুল বুঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। এছাড়াও করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মসূচিগুলোতে জনগণকে ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়নি। বরং স্বাস্থ্যকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের পাশ কাটিয়ে আমলাতান্ত্রিক কমিটি গঠন করে দিয়েছে। ফলে তাদের কোন বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান না থাকায় উল্টো নানা রকম ঝামেলা তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এই চিকিৎসক নেতা।
বিএইচআরএফ’র সভাপতি তৌফিক মারুফের পরিচালনা ও সহ-সভাপতি জান্নাতুল বাকিয়া কেকার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদে মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন, স্বাচিপ সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেসামুল হক, ডা. মোহাম্মদ শহিদুলাহ প্রমুখ।
Discussion about this post