বিশেষ প্রতিবেদক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যথাযথ পরিকল্পনা ও কার্য কর উদ্যোগ গ্রহণে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪ দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে সফল তিন নেতার একজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৫ মার্চ) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘গত ৪ মার্চ কমনওয়েলথ মহাসচিব পেট্রেসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২১ উপলক্ষে দেওয়া এক বিশেষ ঘোষণায় ‘অসাধারণ নারী নেতৃত্ব ও গভীর অনুপ্রেরণা’ হিসেবে অভিহিত করে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিজ নিজ দেশে তাঁদের সফল নেতৃত্বের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।’
কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেন, ‘কমনওয়েলভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তিনজন অসাধারণ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করতে চাই। তাঁরা হলেন, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিকা আরডেন, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলে ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তাঁরা নিজ নিজ দেশে অসাধারণ নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এ তিন ব্যক্তিত্ব বিশ্বের আরও অনেক নারীর পাশাপাশি আমাকে এমন একটি বিশ্ব গড়ে তোলার ব্যাপারে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার সম্মিলিত সুন্দর ভবিষ্যত ও কল্যাণ সুনিশ্চিত ও সুরক্ষিত থাকবে।
উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরের শেষে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পরপরই দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআর যৌথভাবে কাজ শুরু করে। আইইডিসিআরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয় এবং রোগটি মোকাবেলায় প্রস্তুতি শুরু করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পৃথক পৃথক কন্ট্রোল রুম চালু করা করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ভাইরাসসহ সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রণয়ন করা হয় National Preparedness and Response Plan to COVID-19, Bangladesh.
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬৪ জেলায় কভিড-১৯ প্রতিরোধ ও ত্রাণ বিতরণসহ সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে সরকারের ৬৪ জন সিনিয়র সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছেন। জাতির এই ঘোরতর সংকটে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের একটি জেলার সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়ে তিনি একজন বিচক্ষণ ব্যবস্থাপকের মতো কাজ করেছেন।
Discussion about this post