হার্টবিট ডেস্ক
ঢাকা শিশু হাসপাতালের আউটডোরে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগাক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। মাসখানেক আগেও আউটডোরে (সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ২টা ৩০মিনিট) গড়ে প্রতিদিন মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী এলেও বর্তমানে ২৫০ থেকে প্রায় ৩০০ জন রোগী আসছেন। অফিস কর্মঘন্টার পর আউটডোর সার্ভিস বন্ধ থাকে। তখন জরুরি বিভাগে রোগী দেখা হয়। আউটডোর ও জরুরি বিভাগ মিলিয়ে শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। আউটডোর ও জরুরি বিভাগে আগতদের ছয় থেকে আট শতাংশ রোগীকে হাসপাতালের ইনডোরে ভর্তি করতে হচ্ছে। আউটডোর, জরুরি বিভাগ ও ইনডোরে ভর্তি বেশিরভাগ শিশুর বয়স শূন্য থেকে পাঁচ বছর।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) রেজওয়ানুল হাসান জানান, শীতকালে শুরুর দিকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল। দৈনিক গড়ে ৮ থেকে ১০ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগী ছিল। কিন্তু শীত পুরোপুরি পড়ে যাওয়ার পর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চারজন থেকে পাঁচজনে নেমে আসে।
বর্তমানে ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে (বসন্তকালে কখনও গরম আবার কখনও ঠান্ডাও পড়ছে) সিজন্যাল ফ্লুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসছেন। হাসপাতালের আউটডোরে অফিস চলাকালে মাসখানেক আগে ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী হলেও বর্তমানে এ সংখ্যা ২৫০ থেকে প্রায় ৩০০ জনে দাঁড়িয়েছে।
তিনি জানান, ৬৬৪ শয্যা বিশিষ্ট ঢাকা শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন আউটডোর ও জরুরি বিভাগে আগত ছয় থেকে আট শতাংশ রোগীকে ইনডোরে ভর্তি করাতে হচ্ছে। অবশিষ্ট রোগীদেরকে চিকিৎসা-ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বিদায় করা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঋতু পরিবর্তনজনিত এসব রোগ-ব্যাধি থেকে শিশুদের নিরাপদ ও রোগমুক্ত রাখতে হলে অভিভাবকদের সচেতনতা অপরিসীম। এ সময় শিশুরা যেন না ঘামে কিংবা ঘামলে যেন বার বার তোয়ালে ও গামছা দিয়ে মুছে দেয়া, পুষ্টিকর ও তরল খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ধুলোবালি যেন শরীর না মেখে সেজন্য মাস্ক পরাতে হবে। তাছাড়া শিশুদের সবসময় হালকা গরম পানি খাওয়ানো নিশ্চিত করতে হবে।
Discussion about this post