নিউজ ডেস্ক
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ১৬ হাজার ৩০০ জন। এদের মধ্যে মাত্র ২১ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন: জ্বর, টিকা দেওয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে।এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৩২ লাখ ২৬ হাজার ৮২৫ জন। এদের মধ্যে মোট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৭৫৪ জনের। পাশাপাশি টিকার জন্য মোট নিবন্ধন করেছে ৪৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৯২ জন।
সোমবার (১ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট টিকা নিয়েছেন এক লাখ ১৬ হাজার ৩০০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬৯ হাজার ৬৩৫ জন এবং নারী ৪৬ হাজার ৬৬৫ জন।
বিজ্ঞতিতে জানানো হয়, টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪৩ হাজার ১৪৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ হাজার ৯০৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২ হাজার ৭৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১১ হাজার ৪৭১ জন, রংপুর বিভাগে ৯ হাজার ১৯৬ জন, খুলনা বিভাগে ১৬ হাজার ৩৫০ জন, বরিশাল বিভাগে ৪ হাজার ৪৫৯ জন ও সিলেট বিভাগে ৪ হাজার ৯৭৫ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।
করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়। আর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এই দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।
এর আগে স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে।
Discussion about this post