করোনার নতুন ধরনসহ কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের টিকা সর্বোচ্চ কার্যকর। বুধবার মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের নথিতে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এমন একসময় এই খবর এসেছে, যখন এই টিকার অনুমোদন দিতে শুক্রবার একটি স্বতন্ত্র প্যানেলের সভা ডাকা হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় আরেকটি টিকার অনুমোদন পেতে যাচ্ছে করোনায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশটিতে। বার্তা সংস্থা এএফপি ও বিবিসি এমন খবর দিয়েছে।
ব্যাপক রোগীভিত্তিক পরীক্ষায় তীব্র কোভিড রোগের বিপরীতে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার যুক্তরাষ্ট্রে ৮৫ দশমিক ৯ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৮১ দশমিক ৭ শতাংশ ও ব্রাজিলে ৮৭ শতাংশ ৬ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে।
এসব অঞ্চলে ৩৯ হাজার ৩২১ জন এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, তীব্র কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে ৮৫ দশমিক ৪ শতাংশ কার্যকর এই টিকা। কিন্তু রোগের মাঝারি ধরনের বিপরীতে কার্যকারিতা নেমে ৬৬ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো– বিভিন্ন জনমিতিক গোষ্ঠীর ওপর এই টিকার কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বয়স, জাতি বা লোকজন, যাদের দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন, তাদের ক্ষেত্রে এই কার্যকারিতার কোনো পার্থক্য চোখে পড়েনি।
টিকাটি সুসহনীয়, মারাত্মক অ্যালার্জির ক্ষেত্রে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। ফাইজার ও মডার্নার টিকার ক্ষেত্রে যেটি বিরল। তবে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী তরুণদের চেয়ে বয়স্কদের মধ্যে ইনজেকশনের সুচ ঢুকানোর জায়গায় ব্যথা, মাথাব্যথা, ক্লান্তি ও মংসপেশীতে ব্যথার মতো মৃদৃ থেকে মাঝারি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
টিকা নেওয়া লোকজনের মধ্যে কোনো মৃত্যুর খবর আসেনি। এফডিএ বলছে, কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্বেগ ছাড়াই একটা অনুকূল নিরাপত্তা চিত্র পাওয়া গেছে।
হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস রেসপন্স সমন্বয়ক জেফ জিয়েন্টস সাংবাদিকদের বলেন, যদি এই টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়, তবে পরবর্তী সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ লাখ ডোজ দিতে চাইবে কেন্দ্রীয় সরকার।
Discussion about this post