হার্টবিট ডেস্ক
করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা গ্রহণে নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে টিকা গ্রহণে আগ্রহীরা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম সমর্থিত স্মার্টফোন থেকেই নিবন্ধন করার পাশাপাশি যাবতীয় তথ্য পাবেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে সুরক্ষা অ্যাপের উদ্বোধন করা হয়।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা প্রদান ব্যবস্থায় আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। এই অ্যাপের ফলে আমাদের কার্যক্রম আরও সহজ হলো, আরও গতি লাভ করলো। টিকা দেওয়ার মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ যে প্রশংসার সঙ্গে করতে পারছি তার জন্য বিশেষ অবদান রেখেছে এই সুরক্ষা ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা টিকা নিলেন। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণ আরও উৎসাহিত হবে বলেও আমি আশা করছি। আগে অনেকের মধ্যে কিছু দ্বিধা ছিলো। কিন্তু সেই দ্বিধা এখন কেটে যাচ্ছে। এখন প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন লাখ নিবন্ধন হচ্ছে টিকা নেওয়ার জন্য। প্রতিদিন টিকা দেওয়া হচ্ছে দুই থেকে সোয়া দুই লাখ মানুষকে। আরও ২০ লাখ ডোজ এমাসেই বাংলাদেশে চলে আসবে। প্রতি মাসে এটা অব্যাহত থাকবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এই সুরক্ষা অ্যাপের কারণে নার্সদের (স্বাস্থ্য কর্মীদের) আর কোন খাতা কলম বা কম্পিউটারের একটি বোতাম ও প্রেস করতে হবে না। এটা একটা পেপারলেস সিস্টেম। এখন কেউ টিকা নিতে আসলে নার্স তার স্মার্টফোন দিয়ে টিকা কার্ডের কিউ আর কোডটি স্ক্যান করলেই টিকা গ্রহীতার আইডিতে আপডেট হয়ে যাবে যে তিনি টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
দেশীয় প্রোগ্রামাররা এই ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি করেছে উল্লেখ করে পলক বলেন, এটির জন্য আমাদেরকে বাইরে থেকে কনসালট্যান্ট আনতে হয়নি। আইসিটি বিভাগের ২০ জন তরুণ প্রোগ্রামার কোন অতিরিক্ত অর্থ ছাড়াই দেশপ্রেমের টানে এটি ডেভেলপ করেছেন। ইউরোপ আমেরিকায় ৫-৭ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে এমন প্ল্যাটফর্মের জন্য। কিন্তু আমাদের দেশেই তৈরি এমন ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইউরোপ আমেরিকার তুলনায় অনেক ভালো।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ডা. আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post