হার্টবিট ডেস্ক
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা গ্রহণের জন্য যারা ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা সবাই ভ্যাকসিন পাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ইতোমধ্যে দেশে ২৫ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলেও জানান তিনি।বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ডেন্টাল কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও মুজিব কর্নারের উদ্বোধন এবং অডিটোরিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশনের তুলনায় হাসপাতালের ধারণক্ষমতা কম হওয়ায় অনেকের এসএমএস পেতে দেরি হচ্ছে। তবে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের সবাই ভ্যাকসিন পাবেন। দেশে ভ্যাকসিনের আপাতত কোনও অভাব নেই, ভবিষ্যতেও হবে না। দেশে ৬০০ হাসপাতালে ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী টিকাদান কার্জকমের সঙ্গে যুক্ত আছেন।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রতিটি ভ্যাকসিন কেন্দ্রে স্থানীয় লোকের হার ও চাহিদা অনুযায়ী প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে। কোনও কোনও কেন্দ্রে এই চাহিদা ও রেজিস্ট্রেশনের হার তুলনামূলক অনেক বেশি হয়ে গেছে। এ কারণে কিছু কেন্দ্রে ভ্যাকসিন স্বল্প সময়ের জন্য কমে গেলেও সময় মতো সেখানে চাহিদা মাফিক ভ্যাকসিন পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর ভ্যাকসিন গ্রহণে ইচ্ছুক যে কোনও ব্যক্তি সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করলে তিনি দুদিন আগে-পরে হোক, ভ্যাকসিন অবশ্যই পাবেন। কোনও কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন করা ব্যক্তির সংখ্যা বেশি হলে সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন গ্রহণের তারিখ কিছুটা পেছনে চলে গেলেও ভ্যাকসিন পেতে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ শুরুতেই দেশে ৭০ লাখ ভ্যাকসিন আনা হয়েছে। আবার এর মধ্যেই আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দেশে আরও ২৫ লাখ ভ্যাকসিন আনা হচ্ছে। এভাবে প্রতি মাসেই নিয়মিতভাবে ভ্যাকসিন আনা হবে।‘
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকার দ্বিতীয় ডোজ চার সপ্তাহ পরে নেওয়ার কথা ছিল। এখন তা আট সপ্তাহ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে এই সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য তিন মাস সময় পাবেন। যত দেরিতে নেবেন, শরীরে তত বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হবে এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা অনেক বেশি হবে। এই জন্য আমরা দ্বিতীয় ডোজের সময় চার সপ্তাহের বদলে আট সপ্তাহ করেছি।’
Discussion about this post