হার্টবিট ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য আমাদের কোল্ড বক্স আছে, সেখানে ২৪টি আইস প্যাক দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সেই কোল্ড বক্সে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ভ্যাকসিন রাখা যায়।দেশের যেকোনো জায়গায় যদি এই ভ্যাকসিনটি পরিবহন করি, তবে ১২-১৮ ঘণ্টার মধ্যে সবচেয়ে দূরে যে জেলাটি আছে পঞ্চগড় অথবা কক্সবাজারে যাওয়া যাবে। যদিও আমাদের হাতে আছে ৭২ ঘণ্টা।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও এর জেলা ই পি আই স্টোরে আনার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢাকা জেলার ই পি আই স্টোরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মাওলা বক্স চৌধুরী।
ঢাকা জেলার ই পি আই স্টোরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার বলেন, এই ভ্যাকসিন পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়কের সব স্থানে ইনফরমেশন দেওয়া থাকে। যদি ফেরি পারাপারের বিষয় থাকে তবে সেখানেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের (পুলিশ, জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন) ইনফরমেশন দেওয়া থাকবে।
‘এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য সারা দেশেই ব্যবস্থা আছে। সেই সক্ষমতা আমাদের আছে। আজকের সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন আমরা জেলা ই পি আই স্টোরে রাখবো। ’
তিনি আরও বলেন, কতগুলো ভ্যাকসিন পেয়েছি, তার কাগজ এখনও আমি হাতে পাইনি। তবে ২০ লাখ ভ্যাকসিন আসার কথা রয়েছে। আমি এই ভ্যাকসিনগুলো গণনা করবো, তারপর সংখ্যাটি বলতে পারবো।
ই পি আই স্টোরের টেম্পারেচার বিষয়ে ডা. মাওলা বক্স বলেন, ই পি আই স্টোরে টেম্পারেচার ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হবে না। কারণ এখানের টেম্পারেচার আমরা হেড অফিস থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এখানে রিমোট কন্ট্রোল টেম্পারেচার মনিটরিং ডিভাইস আছে। এছাড়াও আমাদের ফ্রিজট্যাগ আছে। ফ্রিজট্যাগ দিয়ে আমরা গত দুই মাস আগের টেম্পারেচার দেখতে পারি।
Discussion about this post