চোখের নিচে যে অংশ দিয়ে পাপড়ি বের হয় সেই অংশে লাল ছোট দানা বা পুটলির মতো আকার ধারণ করে তাকে প্রচলিত ভাষায় অঞ্জনি বলা হয়। মোবামিয়ান গ্রন্থি দ্বারা চোখে পানি উৎপন্ন হয়। এই মোবামিয়ান গ্রন্থিতে কোনোভাবে ময়লা জমে লোমকুপের মুখ বন্ধ হয়ে যায় তখন চোখে অঞ্জনি দেখা দেয়। অঞ্জনি তেমন কোনো মারাত্মক সমস্যা নয়, তবে চোখে প্রচুর ব্যথা হয় এবং চোখ লাল হয়ে যায়। যারা চোখ ভালো করে পরিষ্কার করে না তাদের এই রোগটি বেশি দেখা যায়।
লক্ষণ ও প্রতিক্রিয়া
চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখের পাতা ফুলে ওঠা, চুলকানি, চোখের পলক ফেলতে সমস্যা, রোদে তাকাতে সমস্যা, অঞ্জনি থেকে আঠালো পদার্থ বের হওয়াসহ নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
অঞ্জনি হলে করণীয়
আলু
খোসা ছাড়িয়ে গোল করে কেটে আক্রান্ত চোখে লাগিয়ে রাখতে হবে, এতে আলুর ঠান্ডা প্রভাবে চোখের ফোলা কমে যাবে এবং আরামদায়ক মনে হবে। ভালো ফলাফল পেতে যত দিন অঞ্জনি থাকে ততদিন আলু ব্যবহার করুন।
সবুজ চা
সবুজ টিব্যাগ হালকা কুসুম গরম পানিতে ডুবিয়ে চোখের আক্রান্ত স্থানে ধরতে হবে এতে অঞ্জনির মধ্যকার পদার্থ নরম ও তরল হয়ে যাবে। ফলে চোখের ব্যথা কমে যাবে।
অ্যালেভেরা
অ্যালোভেরা একটি তরল ও ঠান্ডা জাতীয় উদ্ভিদ। তাই অ্যালোভেরার পাতা কেটে ভেতরের জেল বের করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। ব্যাক্টেরিয়া দূর হয়ে যাবে এবং দ্রম্নত সেরে যাবে।
বরিক পাউডার
যে কোনো মুদি দোকানে বরিক পাউডার পাওয়া যায়, তাই আধা চা চামচ পরিমাণ বরিক পাউডার দিয়ে আক্রান্ত চোখে সেঁক দিতে হবে। দুই থেকে তিন দিনে ব্যথা ও ফোলা কমে যাবে।
সর্বশেষ, চোখে অঞ্জনি হলে বাহিরে বের হওয়ার সময় অবশ্যয় সানগস্নাস ব্যবহার করবেন। চোখ চুলকাবেন না এবং অঞ্জনিতে কোনো চাপ দেবেন না।
Discussion about this post