ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন
মানুষের মধ্যে কম-বেশি মৃত্যুভয় থাকতেই পারে কিন্তু তাই বলে অহেতুক মৃত্যুভীতি স্বাভাবিক নয়। অনেক লোক আছে যারা মৃত্যুভীতির কারণে লাশ, অ্যাম্বুলেন্স, লাশের ছবি, এমনকি লাশ রাখার খাট দেখলে একদমই সহ্য করতে পারেন না, ভিতরে কেঁপে উঠে, অস্থির হয়ে উঠে, দম আটকে আসে। মনে হয় এখনই দম বের হয়ে যাবে। এ কারণে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চলাফেরার ব্যাঘাত ঘটে এমনকি টেলিভিশন পর্যন্ত দেখতে পারে না।
রোগীদের ভাবনা :
১. তার হার্টের অসুখ এ জন্য বারবার ইসিজি ও ইকোকার্ডিওগ্রাম করে বেড়াচ্ছে। ২. মাথা ঝিমঝিম করছে, মানে স্টোক করে ফেলবে। ৩. হাত-পা অবশ হয়ে আসছে মনে হয় প্যারালাইসিস হয়ে যাবে। ৪. যে কোনো সময় মৃত্যু হতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন যে প্যানিক ডিজঅর্ডার রোগে ভুগছেন
১. হঠাৎ করে বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা। ২. দম বন্ধ হয়ে আসা, বড় বড় করে হাঁপানি রোগীর মতো শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। ৩. হাত-পা অবশ হয়ে আসা। শরীরের কাঁপুনি হওয়া। ৪. বুকের মধ্যে চাপ লাগা এবং ব্যথা অনুভব করা। ৫. এমনও দেখা গেছে, কোনো কোনো রোগী বলে হঠাৎ পেটের মধ্যে একটা মোচড় দেয় তারপর ওপর দিকে উঠে বুক ধড়ফড় শুরু হয় সঙ্গে সঙ্গে হাত-পা অবশ হয়ে যায়। আর কথা বলতে পারে না। ৬. বমি বমি ভাব লাগে। পেটের মধ্যে অস্বস্তিবোধ লাগা ও গলা শুকিয়ে আসা। ৭. পেটের মধ্যে গ্যাস ওঠে, খালি গ্যাস উঠে এবং বুকে চাপ দেয়। ৯. মৃত্যু ভয় দেখা দেওয়া মনে হয় যেন এখনই মরে যাবেন রোগ যন্ত্রণায়। ১০. নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা। ১১. বারবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া/ইসিজি করা। তাই এসব লক্ষণে সতর্ক হতে হবে।
সহকারী অধ্যাপক, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল, ঢাকা।
Discussion about this post