হার্টবিট ডেস্ক
বয়ঃসন্ধির বিভিন্ন সমস্যায় লাইফস্টাইল
বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী যদি ওজন যথাযথ থাকে, তবে হরমোনের ঝঞ্ঝাট চট করে বাঁধবে না। মেয়েদের ক্ষেত্রে যত সেন্টিমিটার উচ্চতা, তার থেকে ১০০ বাদ দিলে যা হয়, তত কিলোগ্রামই হল আদর্শ ওজন। অর্থাৎ ১৫৫ সেমি উচ্চতায় আদর্শ ওজন ৫৫ কিলোগ্রামের এ দিক ও দিক (৫২-৫৮ কিলোগ্রাম)। অনুরূপে ১৬৫ সেমি উচ্চতায় ওজনের লক্ষ্য রাখুন ৬৫ কেজির। হরমোনের সমস্যা দেখা দিলেই আগে ওজন কমানো এবং ডায়েটে নজর দিতে হবে। ছেলে-মেয়ে সবারই শারীরিক পরিশ্রম প্রয়োজন এই সময়ে। হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোমর টানটান রাখা দরকার।
নিয়মিত হরমোনের রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি চেক-আপ করানো দরকার। রাসায়নিক দেওয়া বা প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলা উচিত। প্লাস্টিকের পাত্রে খাওয়া, বা তাতে গরম খাবার রেখে খাওয়া কিংবা খাবার গরম করায় রাশ টানা দরকার।
স্ট্রেসকে হারাতে হবে
এই বয়সেও কিন্তু স্ট্রেস দেখা যায় এবং তা মোটেই অবহেলা করা উচিত নয়। হরমোনের অসুখের কারণগুলির অন্যতম মানসিক অশান্তি। যে কোনও মারণ অসুখকে হঠাৎ ছ’গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে স্ট্রেস। তাই মানসিক বিশ্রামের অবকাশ খুঁজতে হবে। হরমোন লেভেল নিয়ন্ত্রণ থাকলে শরীরও থাকবে সুস্থ ও মজবুত।
বয়ঃসন্ধির খাদ্যাভ্যাস (Hormone Balancing Diet)
অভিভাবকরা কীভাবে তৈরি করবেন ছেলে-মেয়ের খাদ্যাভ্যাস?
প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ আছে এমন সব খাবার দিয়েই সাজাতে হবে আপনার সন্তানের খাবার থালা। সপ্তাহে অন্তত একদিন বাড়ির সবাই মিলে একসঙ্গে বসে খেতে পারেন। এতে আপনার কিশোর সন্তানটির মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে। খেয়াল রাখতে পারবেন তাঁর খাদ্যাভ্যাসের উপরও। আর তাঁদেরও বাড়ির খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। তাঁরা বুঝতে পারবে বাড়িতে তৈরি খাবারের উপকারিতা।
আবার বাইরের খাবারের কিছু পদ বাড়িতেই রান্না করতে পারেন। কিশোর সন্তানটিকে রেস্তোরাঁতেও নিয়ে যেতে পারেন মাসে দু-একবার। এতে করে বাইরের খাবারের চাহিদাও মিটবে আবার মানসিকভাবে শান্তিও আসবে।
খাবারের সঠিক তালিকা (Hormone Balancing Food Chart)
বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেদের জন্য প্রতিদিন ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ এবং মেয়েদের জন্য ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ কিলো ক্যালরি প্রয়োজন। ওজন বেশি হলে তেল ও চর্বির পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। ওজন কম হলে তেল চর্বির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
ব্রেকফাস্ট: দীর্ঘ একটা রাত না খেয়ে কাটে। তাই সকালের খাবার ভারী হওয়া প্রয়োজন। এ সময় সন্তানকে খেতে দিতে পারেন রুটি, পরোটা, সবজি, ডিম সেদ্ধ ইত্যাদি। সঙ্গে এক গ্লাস ফলের রস। পরিবর্তন হতে পারে একেক দিন একেক খাবারের।
দুপুরের খাবার: ভাতের সঙ্গে মাছ বা মাংস, সবজি, ঘন ডাল। স্যালাড রাখতেই হবে। আর ভাতের থেকে সবজি বেশি পরিমাণে খেতে দিতে হবে।
বিকেলের খাবার: বিকেলে ঘরে বানানো স্যান্ডউইচ, ফলের তৈরি কাস্টার্ড, লুচি, শিঙাড়া ইত্যাদি মুখরোচক খাবার দিতেই পারেন। কিন্তু অবশ্যই পরিমাণমতো। চা, কফির অভ্যেস না করানোই ভালো।
রাতের খাবার: বয়ঃসন্ধির ছেলে-মেয়ের রাতের খাবারটাও হতে হবে পরিপূর্ণ। মূল খাবার শেষে একটা মিষ্টিজাতীয় খাবার যোগ করতে পারেন। যেমন, পায়েস, মিষ্টি ইত্যাদি।
রাতে ঘুমানোর আগে দিতে পারেন এক গ্লাস দুধ। অনেকে আবার রাতে দুধ খেতে পারে না। সে ক্ষেত্রে সন্ধ্যায় অথবা সকালেও এটি খেতে দেওয়া যেতে পারে।
Discussion about this post