হার্টবিট ডেস্ক
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশে সরবরাহের দায়িত্বে থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বলছে, চুক্তিতে নির্ধারিত সময়েই বাংলাদেশ টিকা পাবে বলে আশা করছে তারা।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা বলেন, টিকা পাওয়া নিয়ে ‘কোনো অনিশ্চয়তা নেই’।
“আমাদের সঙ্গে তাদের (সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া) নিয়মিত যোগাযোগ আছে। আজও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা নিশ্চিত, আমাদের সঙ্গে যেভাবে চুক্তি হয়েছে সে অনুযায়ী, সে সময়েই আমরা ভারত থেকে টিকা পাব।”
চুক্তিতে কি আছে জানতে চাইলে রাব্বুর রেজা বলেন, “সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আমাদের চুক্তি অনুযায়ী, টিকা বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়ার পর এক মাসের মধ্যে আমরা প্রথম লটের টিকা পাব।”
তিনি জানান, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের অনুমোদনের জন্য গত বৃহস্পতিবারই তারা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার তারা টিকার অনুমোদনের জন্য আবেদন করবেন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠাবে সেরাম ইনস্টিটিউট।
আর ভারত থেকে টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহের জন্য গত অগাস্টে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় দেশের ওষুধ খাতের শীর্ষ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
সেই চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’।
চুক্তি নির্ধারিত সময়েই বাংলাদেশ টিকা পাবে, সংশয় নেই বেক্সিমকোর
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশে সরবরাহের দায়িত্বে থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বলছে, চুক্তিতে নির্ধারিত সময়েই বাংলাদেশ টিকা পাবে বলে আশা করছে তারা।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, টিকা পাওয়া নিয়ে ‘কোনো অনিশ্চয়তা নেই’।
“আমাদের সঙ্গে তাদের (সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া) নিয়মিত যোগাযোগ আছে। আজও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমরা নিশ্চিত, আমাদের সঙ্গে যেভাবে চুক্তি হয়েছে সে অনুযায়ী, সে সময়েই আমরা ভারত থেকে টিকা পাব।”
চুক্তিতে কি আছে জানতে চাইলে রাব্বুর রেজা বলেন, “সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আমাদের চুক্তি অনুযায়ী, টিকা বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়ার পর এক মাসের মধ্যে আমরা প্রথম লটের টিকা পাব।”
তিনি জানান, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের অনুমোদনের জন্য গত বৃহস্পতিবারই তারা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার তারা টিকার অনুমোদনের জন্য আবেদন করবেন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠাবে সেরাম ইনস্টিটিউট।
আর ভারত থেকে টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহের জন্য গত অগাস্টে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় দেশের ওষুধ খাতের শীর্ষ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
সেই চুক্তি অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’।
ভারত সরকারের ওষুধ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোববার কোভিশিল্ডের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ায় সেখানে নাগরিকদের টিকাদান শুরুর পথ তৈরি হয়।
সেই খবরে বাংলাদেশেও দ্রুত টিকা পাওয়ার আশা জোরালো হয়ে ওঠে, কারণ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলে আসছিলেন, ভারত অনুমোদন দিয়ে দেওয়ায় জানুয়ারির মধ্যেই বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম চালান পেয়ে যাবে।
কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পূনাওয়ালার বরাত দিয়ে রোববার রাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আগ্রহী দেশগুলোতে রপ্তানি শুরুর আগে আগামী দুই মাস তারা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করতেই জোর দেবে।
এক সাক্ষাৎকারে পূনাওয়ালা বলেন, “ভারতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলো যাতে প্রথমে টিকা পায়, সরকার সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে। এবং এ সিদ্ধান্তের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।”
তার ওই বক্তব্যের পর বাংলাদেশের টিকা পাওয়া বিলম্বিত হতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হলেও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা বলছেন, চুক্তি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা পাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো ‘সংশয় নেই’।
টিকা আনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে করা চুক্তি ‘ত্রি-পক্ষীয়’ ছিল কি না- এ প্রশ্নে রাব্বুর রেজা বলেন, “চুক্তি হয়েছে বেক্সিমকো-বাংলাদেশ সরকার এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে। ভারতের সরকার এখানে নেই।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত শনিবার জানিয়েছিলেন, সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত প্রতি ডোজ টিকার ক্রয়মূল্য হবে ৪ ডলার। সব খরচ মিলিয়ে দাম পড়বে ৫ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় হিসাব করলে ৪২৫ টাকার মত।
Discussion about this post