নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্তকরণের সাশ্রয়ী এবং সংবেদনশীল পদ্ধতি উদ্ভাবনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিন মহাদেশের ন্যানোপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এই গবেষণায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিটিক্যালস ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক জোনায়েত হোসেন খান আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়। ‘বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ন্যানো অ্যন্ড অ্যাডভান্সড ড্রাগ ডেলিভারি সিস্টেমস (বিএসএনএডিডিএস) -এর উদ্যোগে ‘এ নিউ প্যারাডাইম ফর ন্যানো স্ট্রাকচার্ড পিওপি ডিটেকশন সিস্টেম ফর ক্লিনিক্যাল রিলেভেন্ট বয়োমার্কার’ শীর্ষক এই ভার্চ্যুয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিএসএনএডিডিএস –এর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত হলে আক্রান্তের ৯৯ শতাংশ বেঁচে যাবে। আর যদি চতুর্থ পর্যায়ে শনাক্ত করা যায়, তবে বেঁচে থাকার হার হবে ১১ শতাংশ। সুতরাং, ক্লিনিক্যাল রিলিভেন্ট বায়োমার্কারদের জন্য একটি সস্তা এবং সঠিক শনাক্তকরণ পদ্ধতি সন্ধান করা জরুরি।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ন্যানোটেকনোলজি (এআইবিএন) ইনস্টিটিউটের গবেষণা ফেলো ড. মোস্তফা কামাল মাসুদ ন্যানোস্ট্রাকচার ব্যবহার করে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্তকরণে সাশ্রয়ী এবং সংবেদনশীল পদ্ধতি উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হোসেন শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন— যুক্তরাষ্ট্রের কপ্পিন স্টেট ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ন্যানো টেকনোলজির পরিচালক অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন, কিংস সাউথ ইউনিভার্সিটি, কেএসএ এর সহযোগী অধ্যাপক ড. মহসিন কাজী, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক (টেকনিক্যাল অপারেশনস) মো. নবাবুর রহমান।
গত ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ন্যানো অ্যন্ড অ্যাডভান্সড ড্রাগ ডেলিভারি সিস্টেমস (বিএসএনএডিডিএস) এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে— ন্যানো গবেষক ও শিল্প বিশেষজ্ঞদের জন্য একটি বহিঃশাখামূলক প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা, যেখানে গবেষকরা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার কল্যাণে ন্যানো এবং অন্যান্য ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর জ্ঞান আদান-প্রদান ও সম্প্রসারণ করতে পারে।
উল্লেখ্য, ১০ অক্টোবর বিএসএনএডিডিএস প্রথম ওয়েবিনারের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। এতে তিন মহাদেশের ন্যানোপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ‘চলমান ধারা, চ্যালেঞ্জ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের উপায়’ বিষয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেন।
Discussion about this post