নিজস্ব প্রতিবেদক
“ বাংলাদেশ অনুমোদনবিহীন কোনো হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ক্লিনিক কাজ করতে পারবে না। আমরা অফিশিয়ালি সিভিল সার্জনদের নির্দেশ দিয়েছি।যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবুও মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না”-রোববার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১০০ ভেন্টিলেটর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা সব জেলার সমস্ত হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক পরিদর্শন করবেন। লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদেরকে সময় বেধে দেওয়া হবে। যাদের যন্ত্রপাতি নেই বা যন্ত্রপাতির কমতি আছে, তাদেরও সময় দেওয়া হবে। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সব ঠিক না হলে, বন্ধ করে দেব।
বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো দাবি করে তিনি বলেন, মৃত্যু হার অনেক কম। তবে সংক্রমণের হার কমেনি। মাঝে মধ্যে সংক্রমণের হার বাড়ছে। সুস্থতার হার বেড়েছে। সংক্রমণ কমানোর জন্য আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। ব মন্ত্রণালয়ের চিঠি দেওয়া হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা পেতে হলে মাস্ক পরে আসতে হবে। নো মাস্ক, নো সার্ভিস। এটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছি। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলছি। এটা অনেকে মানছেন না। আবার অনেকে মানছেন। তবে রাতারাতি এটি সব জায়গায় হয়ে যাবে, এমনটা মনে করি না। আস্তে আস্তে এটি হয়ে যাচ্ছে। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে, কেউ যেন মাস্কের প্রতি উদাসীন না হন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একার পক্ষে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলা করা সম্ভব না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রমণ রোধ করতে পারবে না। সে সেবা দিতে পারবে। চিকিৎসা দিতে পারবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। জনগণই পারে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে। জনগণ উদাসীন থাকলে সংক্রমণ বাড়বে।
দেশে ৪০০ ভেন্টিলেটর আছে। আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভেন্টিলেটর পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। যুক্তরাষ্ট্রের ভেন্টিলেটরগুলো আকারে ছোট হওয়ায় পরিবহন সহজ হবে। এটি উপজেলা লেভেলে পৌঁছে দিতে সমস্যা হবে না। ভেন্টিলেটরগুলো রক্ষণাবেক্ষণে কোনো সমস্যায় পড়বেন না আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা, উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ১০০ ভেন্টিলেটর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ১০০ ভেন্টিলেটর দিয়েছে।
Discussion about this post