শীতে আর্দ্রতা পরিবর্তন হয়।এছাড়া এই শীতে মৌসুমে অনেকেই পানি কম পান করেন। ফলে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়। কিন্তু শরীরকে তো হাইড্রেট রাখা জরুরি। তাই সুস্থ থাকতে হলে বেশি পরিমাণে শীতকালীন সবজি ও প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে পারেন।
আসুন জেনে নিই সুস্থ থাকতে শীতে যেসব খাবার খাবেন:
ফুলকপি: শীতের শাকসবজির মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই ফুলকপি খেতে পছন্দ করেন। এটি দিয়ে স্যালাড, স্যুপ ও বিভিন্ন তরকারি তৈরি করা যায়।
ক্যাপসিকাম: ক্যাপসিকামের গুণ অনেক। হলুদ ও সবুজ ক্যাপসিকামে প্রচুর পানি থাকে এবং আমাদের দেহকে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে। ক্যাপসিকামে ৯৩.৯ শতাংশ পানি রয়েছে। এছাড়া এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, বিটা ক্যারোটিন, থায়ামিন ও ফলিক অ্যাসিড রয়েছে।
টমেটো: রান্নায় ব্যবহৃত সবজিগুলোর অন্যতম টমেটো। এতে প্রায় ৯০ শতাংশ পানি থাকে, যা শরীরকে ভেতর থেকে পুষ্ট রাখতে সহায়তা করে। টমেটো ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল ভিটামিন-ই, ভালো ফ্যাট জাতীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে। শীতে অলিভ অয়েল দারুণ ময়েশ্চারাইজার। তাই ত্বক ভালো রাখতে অলিভ অয়েল দিয়ে শরীরে ম্যাসাজ করতে পারেন। রান্নায়ও ব্যবহার করতে পারেন।
পালং শাক: পুষ্টিসমৃদ্ধ পালং শাক ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। পালং শাক শীতে আমাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে। সবুজ শাকসবজিতে ৯০ শতাংশেরও বেশি পানি থাকে। এছাড়া পালং শাক লুটিন, পটাসিয়াম, ফাইবার, ফোলেট ও ভিটামিন-ই-তে পরিপূর্ণ।
ডিম: এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, জিংক, আয়রন, কপার, ভিটামিন ‘ডি’ রয়েছে। সামুদ্রিক মাছেও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন ‘ডি’ রয়েছে। ডিম ও মাছ ভালো কোলেস্টরেল উৎপাদন করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
Discussion about this post