নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমকে হত্যার মামলায় বেসরকারি মাইন্ড এইড অ্যান্ড সাইকিয়াট্রি ডি-অ্যাডিকশন সেন্টারের অন্যতম মালিক ফাতেমা আক্তারকে বৃহস্পতিবার ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি মনোবিজ্ঞানে পড়েছেন এবং পরে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করলেও কোনো সনদ দেখাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ। আনিসুল করিম হত্যা মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর চিকিৎসা পরামর্শ দিতেন ফাতেমা। তিনি মনোবিজ্ঞানে পড়েছেন এবং পরে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। তবে ফাতেমা তাঁর ডিগ্রির কোনো সনদ দেখাতে পারেননি। এ কারণে তাঁর নামে হত্যার পাশাপাশি অপচিকিৎসা তথা প্রতারণার মামলাও করা হতে পারে।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে আসা রোগীদের সমস্যার ধরন দেখে চিকিৎসা বলে দিতেন ফাতেমা আক্তার। প্রথম অবস্থায় সবাইকে মারধর করে দুর্বল করে ফেলা হতো। পরে বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে দেখানো হতো।
এদিকে ঢাকার মাইন্ড এইড নামের কথিত ক্লিনিকে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিমের মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্ট (বিএপি)। একই সঙ্গে মাইন্ড এইড এর কথিত পরিচালক / মালিক ফাতেমা বেগম ময়না সাইকিয়াট্রিস্ট নন। সে ডাক্তারও নয়। জানিয়ে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আনিসুল করিম হত্যায় মাইন্ড এইড অ্যান্ড সাইকিয়াট্রি হাসপাতালের পরিচালক মামলায় ফাতেমাকে আজ শুক্রবার আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
এদিকে মাইন্ড এইডের এই দুই পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়না ও ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ খানকে (নিয়াজ মোর্শেদ) শুক্রবার আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুজনেই অসুস্থ থাকায় তাদেরকে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।
ডিসি হারুন অর রশিদ জানান, ফাতেমা আক্তার ময়না অসুস্থ থাকায় তাকে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যে কারণে শুক্রবার তাকে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।
আদাবর থানার ওসি সাহিদুজ্জামান যুগান্তরকে জানান, সুস্থ হলে তাদেরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। তারা দুজন মানসিক সমস্যার চিকিৎসা নিতে যাওয়া পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমকে মারধর করে হত্যা ঘটনার মামলায় আসামি।
Discussion about this post