অধ্যাপক ডা: এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরী
আঘাতপ্রাপ্ত বা রোগাক্রান্ত কোনো জয়েন্টের ভেতর ক্যামেরা ঢুকিয়ে ভিডিও সিস্টেমের সাহায্যে রোগ নির্ণয় ও প্রয়োজনে অপারেশন করার আধুনিক শৈল্য চিকিৎসাকে আর্থ্রাস্কোপি সার্জারি বলে। সাধারণত হাঁটুর জয়েন্টেই এ পদ্ধতি আদর্শ বলে পরিগণিত হয়েছে। এর সাহায্যে জয়েন্টের অভ্যন্তরীণ পর্দা যাকে সায়নোভিয়াল মেমব্রেন বলে, তরুনাস্থি এবং লিগামেন্ট দেখা যায় এবং এখানে রোগ ও তার প্রকৃতি নির্ণয় করা যায়।
এ অংশগুলোর ফেটে যাওয়া বা ছিঁড়ে যাওয়া অংশ বের করে আনা, নতুন রগ বা লিগামেন্ট তৈরি করা এবং কোনো লুস বডি বের করে আনা আর্থ্রাস্কোপির সাহায্যে করা হয়। সেপটিক আর্থ্রাইটিসের আর্থ্রাস্কোপি ওয়াশ একটি কার্যকরী পদ্ধতি। প্রাথমিক অস্টিও আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসাও এর সাহায্যে করা যায়। যেহেতু বড় করে না কেটে জয়েন্টে শুধু ক্যামেরা ঢুকিয়ে এসব অপারেশন করা হয়, তাই রোগী অতি অল্প সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। আর্থ্রাস্কোপির রোগীদের সাধারণত হাসপাতালে অবস্থানের প্রয়োজন হয় না। এ সার্জারির সব ধরনের সুবিধা বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছে।
লেখক : অর্থোপেডিক সার্জন, বারডেম, ঢাকা
Discussion about this post