হার্টবিট ডেস্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিপ্লোমা-এমফিল (নন-রেসিডেন্সি) কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসকরা মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অর্থসংক্রান্ত তথ্য নিরূপণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে বরাদ্দ দিলেই ভাতা চালু হয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান আজ শনিবার (৭ নভেম্বর) বলেন, ‘সিন্ডিকেটে পাস হওয়া সিদ্ধান্তের আলোকে চূড়ান্ত কাগজ-পত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থবিভাগ হয়ে মন্ত্রণালয়ে যাবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখান থেকে তহবিল প্রদান করা হলেই নন-রেসিডেন্সি কোর্সের চিকিৎসকদের ভাতা চালু হয়ে যাবে।’
দ্রুততম সময়ে ভাতা চালুর বিষয়ে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এটি সময় সাপেক্ষ—এটি অফিসিয়াল ব্যাপার, টাকা-পয়সার ব্যাপার। হয়ে যাবে, প্রক্রিয়াধীন আছে। খুব দ্রুত দেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’
কবে নাগাদ হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নির্দিষ্ট করে বলা দুরুহ। হয় তো চলতি মাসেই হয়ে যেতে পারে কিংবা আগামী মাসও (ডিসেম্বর) লাগতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিএসএমএমইউর সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ডিপ্লোমা-এমফিল তথা নন-রেসিডেন্সি কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিএসএমএমইউ ও এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে নন-রেসিডেন্সি কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসকরা মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাতা চালু হলে তরুণ চিকিৎসকরা লেখাপড়ায় অধিক মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি কাজে আরও উৎসাহী হবেন।
এর আগে ডিপ্লোমা-এমফিল-এমইডি (নন-রেসিডেন্সি) কোর্সে অধ্যয়নরত চিকিৎসকদের ভাতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, সিন্ডিকেটের অনুমোদন নিয়ে যেতে হবে। ফলে গত ২১ সেপ্টেম্বর এটি সিন্ডিকেটে অনুমোদন হয়।ঐতিহাসিক এ সিদ্ধান্তের ফলে নয় শতাধিক তরুণ চিকিৎসক এ সুবিধার আওতায় আসবেন।
Discussion about this post